আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতারের মধ্যস্থতায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন; যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বুধবার(২২ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের এ খবর প্রকাশ পায়। সূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে যে,গাজায় কবে থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে—তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ইসরায়েলের সরকার বলেছে,তারা সব জিম্মিকে মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা আরও জানিয়েছে, ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার পর প্রতি ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১ দিন বাড়াতে রাজি আছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি আশা করেছেন এর মধ্য দিয়ে এ সংঘাতের অবসান ঘটবে।
পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত জানান, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তাদের হাতে বন্দী থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আপাতত বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। এ সময় যুদ্ধবিরতিকালে গাজায় জ্বালানিসহ ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
হামদাহ সালহুত আরও জানান, যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দিদেরকে মুক্তি দেবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি। আর জিম্মি হিসেবে আটক হন ২৪০ জন। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ফিলিস্তিনে ১৪ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই শিশু ও নারী। উদ্বাস্তু হয়েছে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।